গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের ৩ মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২৮ অক্টোবর (সোমবার)সকালের ড. ইউনুসের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৭ নভেম্বের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
গত ৯ অক্টোবর(বুধবার )ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩ জুলাই শ্রম আদালতে ইউনুসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীন কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। এরপর আদালত তাদের হাজির হওয়ার জন্য সমান জারি করেন। দুই আসামী হাজির হয়ে জামিন নিলেও যাননি ডক্টর ইউনুস।
এরপরে ১৪ অক্টোবর (সোমবার) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন ইস্যু (নোটিশ) করেন।
ওই তিন মামলার বাদীরা হলেন, প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সংগঠনটির সদস্য এমরানুল হক।